Indicators on রোমান সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন You Should Know

অজানা প্যারামিটারসহ তথ্যছক রাষ্ট্র ব্যবহার করা পাতা

কার্থেজীয়দের বিরুদ্ধের রোমানদের প্রথম ও দ্বিতীয় পিউনিক যুদ্ধ

খুলনা বেতার কেন্দ্র যুদ্ধ এবং একজন জয়নুল আবেদীন

কৃষকের সংখ্যার হ্রাস : তবে রােমের মতাে রাজ্যও কোনাে ত্যাগ স্বীকার না করে নিজেদেরকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ক্ষমতাবান রাজ্য হিসেবে পরিচিত করতে পারেনি। এক শতাব্দীর যুদ্ধ এবং সংগ্রাম রােমান সমাজকে বদলে দিয়েছিল। পিউনিক যুদ্ধের আগে, ক্ষুদ্র কৃষকেরা রােমের প্রধান শক্তি ছিল, বলতে গেলে মেরুদণ্ড। কৃষকেরা বছরের কিছু সময়ে কষিকাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকত এবং বাকি সময় সেনা সদস্য হয়ে যুদ্ধ করতে যেত। তাদের বাড়ির আশেপাশেই তাদের জন্য ছােটোখাটো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হতাে। এক শতাব্দী ব্যাপী বিচিত্র যুদ্ধের কারণে দেখা গেল সেইরকম অনেক যােদ্ধা তথা কৃষক মারা পড়েছেন (হিসাবমতাে খ্রিস্টপূর্ব ১৩৩ সালে খ্রিস্টপূর্ব ২৫০ সালের চেয়ে অনেক কম মানুষ তথা কৃষক ছিলেন রোমে)। আর এই কারণে তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলাে। ইতালির বড়াে অংশ হ্যানিবলের হাতে ধ্বংস হয়েছিল, কিংবা ধ্বংস হয়েছিল রােমের নিজেরই হাতে, কার্থেজ বাহিনীর সঙ্গে যােগদান করার অপরাধের শাস্তি হিসেবে। এরপরে যুদ্ধে যােগদানের আহ্বান এত বিস্তৃত হলাে যে মানুষ যেখানেই থাকুক সে আহ্বানে সাড়া দিতে শুরু করল। তখন আর একজন মানুষ একই সঙ্গে কৃষক এবং যােদ্ধা থাকতে পারল না। যােদ্ধাকে তখন অস্ত্র চালানাের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করতে হলাে।

” “কিন্তু আমি কার কী ক্ষতি করেছি?” অবশ্যই কারােরই তিনি কোনাে ক্ষতি করেননি। কিন্তু জীবনে যখন কেউ ওপরে ওঠার জন্য সবচেয়ে বেশি দাম দেয় তখন কষ্টও তাকে সবচেয়ে বেশিই ভােগ করতে হয়। ১৯৩ সালের ২৮ মার্চ থেকে ১ জুন, এই দুই মাস চার দিন তিনি রোমান সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন। আগের সম্রাট পার্টিন্যাক্সের চেয়েও কম সময়!

ইতালিতে গ্যালিক ও এট্রুস্কানদের রোমান সংস্কৃতি গ্রহণ ও গ্রিকদের দুর্বলতা : ইতালি নিজেও অনেক পরিবর্তন দেখেছে। ইতালি সেই স্থান যা হ্যানিবলকে সবরকমভাবে পরাজয় বরণ করতে বাধ্য করেছে। সিসালপাইন গাউল ধীরে ধীরে ঝুকে গিয়েছিল ল্যাটিন নগরগুলাের দিকে এবং গ্যালিক জাতি ক্রমে রােমান জীবন যাপন পদ্ধতি অনুসরণ করছিল। ল্যাটিনরা দক্ষিণের শেষ মাথা পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করে ফেলল এবং গ্রিক নগরগুলাে এতটাই দুর্বল হয়ে গেল যে আর কখনােই আগের মতাে শক্তিশালী হয়ে উঠে দাঁড়াতে পারল না, তাদের কোনাে রাজনৈতিক গুরুত্ব থাকল না। এট্রুরিয়া রাজ্য ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে লাগল এবং রােমান সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠল। 

রণতরী ইউএসএস কনস্টিটিউশন: সমুদ্রের বুকে দুই শতাধিক বছর

এই অবস্থায় অ্যান্টিওকাসের আত্মাভিমান তাকে গ্রিসকে রোমের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য প্ররোচিত করে। কিন্তু তিনি হ্যানিবলের উপদেশ শুনলেন না। তিনি কার্থেজীয়দের সেনাবাহিনী দিলেন না। বরং গ্রিসকেই তিনি তার যুদ্ধের প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিলেন, এবং ঈটোলিয়ানদের কথার উপর ভরসা করলেন যারা বলেছিল তিনি রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দাঁড়ালেই গ্রিকরা তার পক্ষে উঠে দাঁড়াবে ও তার সাথে যোগ দেবে।

পারস্যের বিরুদ্ধে সেভেরাস আলেকজান্ডারের সম্ভাব্য বিজয় : পূর্বদিকে সাম্রাজ্যে এই বিপুল পরিবর্তন রােমে তেমন কোনাে ঢেউ আনতে পারেনি। পূর্বদিকের রাজ্যের মানুষেরা তখনও রােমের শত্রুই ছিল, কে তাদের বর্তমান রাজা অথবা তাদের নাম পার্থিয়া নাকি পারস্য, তাতে তাদের ভাবমূর্তির কোনাে পরিবর্তন হয়নি। প্রকৃতপক্ষে তখন শত্রুতা ক্রমে বেড়েই চলেছিল। সাশানিড পরিবার নিজেদের প্রাচীন পারস্যের রাজার উত্তরাধিকারী হিসেবে ভাবত এই কারণে তারা সবসময় মনে করত যে আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেট তাদের সাম্রাজ্য থেকে যেটুকু ছিনিয়ে নিয়েছিলেন একসময়, তা তাদের আবার ফিরে পেতে হবে। এই হারিয়ে ফেলা অঞ্চলের মধ্যে তারা এশিয়া মাইনর, সিরিয়া এবং মিশরকে বিশেষ করে স্মরণ করত। ২৩০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পারস্য জাতি সাম্রাজ্যের পূর্বদিকের প্রদেশগুলােতে অনুপ্রবেশ শুরু করে। ফলে সেভেরাস আলেক্সান্ডার সেনাবাহিনী নিয়ে পূর্বদিকে যাত্রা করতে বাধ্য হন। তিনি পারস্যের বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজের বাহিনীকে লেলিয়ে দেন। সেই যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কিন্তু আলেক্সান্ডার একসময়ে রােমে ফিরে আসেন এবং পারস্যের বিরুদ্ধে বিজয় উদযাপন করেন। যতরকমের বিজয়ই তখন অর্জিত হয়ে থাকুক না কেন, তারপরেও নিশ্চিত মনে হচ্ছিল যেন সামনে get more info আরও যুদ্ধ আছে।

রোমের বিদেশীদের রোমান নাগরিকত্ব প্রদান, কর আদায় বৃদ্ধি ও সামরিক অভিযান : ক্যারাক্যালার কাজের মধ্যে আরেকটি উল্লেখযােগ্য কাজ হলাে ২১২ খ্রিস্টাব্দে তিনি রােমে অবস্থানকারী অন্য দেশের মানুষদের জন্য রােমান নাগরিকত্ব প্রদানের ব্যবস্থা করেন। অবশ্য সেভাবে ভাবতে গেলে নাগরিক আর অনাগরিকদের মধ্যে এই সাম্য তৈরি করা যে খুব লাভজনক হয়েছিল তা নয়। প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত সাম্রাজ্যে একজন নাগরিক আর কতইবা অধিকারচর্চা করতে পারে। আসলে শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রব্যবস্থাটা কী দাঁড়াবে, এ বিষয়ে ক্যারাক্যালার দূরদর্শিতা ছিল। রােমে বিশেষ কিছু ধরনের কর ছিল যা কেবল রােমান নাগরিকদের পরিশােধ করতে হতাে। এভাবে নাগরিকের সংখ্যা বাড়িয়ে সম্রাট বলতে গেলে করের পরিমাণই বাড়াচ্ছিলেন। ক্যারাক্যালা নতুন প্রদেশ দখলের ব্যাপারে তার অভিযান অব্যাহত রেখেছিলেন। ২১৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি দানিয়ুবের তীর ধরে বাহিনীসহ এগিয়ে গেলেন। জার্মানির উপজাতিদের আগ্রাসন তিনি নদীর তীরেই আটকে রাখলেন। তারপর পূর্বদিকে আরও অগ্রসর হয়ে তিনি তার বাবার মতােই পার্থিয়ার সাথে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কিছুটা সমাধান করলেন। সেখানে সফলভাবে তিনি সেনাবাহিনীসহ মেসােপটেমিয়ায় আসন গেঁড়ে বসলেন।

১ তথ্যসূত্র সূচিপত্র টগল করুন রোমান সাম্রাজ্য

) তার অবস্থান বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছিলেন, কন্সট্যান্টিনােপলের নতুন সম্রাট জেনাের মৃত্যুর পরে ৪৯১ সালে সিংহাসনে উপনীত হন। থিওডােরিক প্রবল পরাক্রমসহ বহুদিন ধরে সম্রাট রয়ে গেলেন। তিনি এমন নীরবে, ক্ষমতা প্রদর্শন না করে ক্ষমতা রক্ষা করে গেছেন, যে তাকে বলা হয় “থিওডােরিক দ্য গ্রেট”।

পন্টাসের মিথ্রাডেইটিস ও মারিয়াস বনাম স্যুলা

শান্তিপূর্ণ শাসন, বাজে অর্থনৈতিক অবস্থা ও উলপিয়ান : সেভেরাস আলেক্সান্ডার মােটামুটি সৎ এবং শান্তিপূর্ণভাবে শাসনকাজ চালিয়ে গেছেন। রােমে অ্যান্টোনাইনদের আমলে যে শান্তি বজায় ছিল, তা ফিরিয়ে আনার কিছু চেষ্টা তিনি করেছিলেন। আলেক্সান্ডারের মা সিনেটর এবং আইনজীবীদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করেন যা সরকারকে সবরকম সহায়তা প্রদান করবে। এই কমিটির একজন সদস্য ছিল উলপিয়ান (ডমিশিয়াস উলপিয়ান), যিনি প্যাপিনিয়ানের সহকর্মী ছিলেন আর নিষ্ঠার সাথে সেপটিমিয়াস সেভেরাস এবং ক্যারাক্যালার অধীনে কাজ করেছিলেন। এলাগাবেলাসের সময় তাকে নিষিদ্ধ ঘােষণা করা হয়। কিন্তু তখন রাজ্য পরিচালনার প্রাথমিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য তাকে আবার ডেকে আনা হয়। যাই হােক, সময়কে তাে আর পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দেয়া যায় না। অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেল আর মুদ্রার মূল্যের অবনতি হলাে আরেকবার।

1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15

Comments on “Indicators on রোমান সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন You Should Know”

Leave a Reply

Gravatar